মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনা রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে।
করোনার এপিসেন্টার নারায়ণগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এ জেলার ৫০ শয্যার এ আইসোলেশন সেন্টারে নেই কোনও ভেন্টিলেটশনের ব্যবস্থা। নেই আইসিইউ কিংবা সিসিইউ। শুধু অক্সিজেনের সামান্য ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়েই করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টারটি।
জেলার একমাত্র আইসোলেশন সেন্টারে মাত্র একজন ডাক্তারের ওপর ভরসা থাকতে হবে করোনা রোগীদের। কেননা ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও একজন আয়া চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাত থেকে শুক্রবার (১৭ এ্রপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মুন্সীগঞ্জে নতুন করে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ৭ দিনে জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। অথচ একজন করোনা আক্রান্ত রোগীরও ঠাঁই হয়নি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা রোগীর চিকিৎসায় গত ৮ এপ্রিল আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত চালু করা হয়। করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত রয়েছে সেন্টারটি। তবে সেখানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ১৮ চিকিৎসকের মধ্যে প্রতিদিন একজন করে চিকিৎসক করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকবেন।
তবে এই আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তির পর কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় উন্নত চিকিৎসায় পাঠানোর জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আপাতত কোনও করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসার জন্য ৫০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলা সদরের বাইরে ৫ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ৫ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
Leave a Reply