পি টিভি নিউজ ডেস্ক ঃ
যশোরে করোনার পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত নমুনা সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না ল্যাবে। ফলে সঠিক ফলাফলও আসছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সিভিল সার্জনের দাবি, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের কারণে জেলায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, আক্রান্তের হার কমাতে সব ধরণের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর পর্যায়ক্রমে সংখ্যা বাড়তে থাকায় সরকার বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাগার স্থাপন করে। যশোর জেলা থেকে প্রথমে ঢাকায় আইইডিসিআরে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজে নমুনা পাঠানো হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে শুরু হয় করোনা শনাক্তের পরীক্ষা।
দেশের বিশিষ্ট অনুজীব বিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মতে, শুরু থেকেই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে নমুনা পাঠানো হয়নি। ফলে ভুল রিপোর্ট হওয়ার আশংকা আছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বায়োসেপটিম নিয়ম মেনে সেভাবে যদি আমাদের কাছে পাঠায়। তবে মনে হয় আক্রান্ত আরো বাড়বে। কারণ আমাদের কাছে এসে অনেক নমুনা রিজেক্ট হয়ে যায়, সঠিকভাবে নমুনা না নেয়ার কারণে।
সিভিল সার্জনের দাবি, ঢাকা, নারায়ানগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ফিরে আসা মানুষের কারণেই হু হু করে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, বেশিরভাগ রোগী আমরা উপসর্গবিহীন পাচ্ছি। উপসর্গ না থাকায় সংক্রমণ আরো বেড়েছে।
তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, রোগী বৃদ্ধির এ হার কমাতে মানুষের সহযোগিতা জরুরি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, মানুষ যত বেশি ঘরে থাকবে তত বেশি আমরা রোধ করতে পারবো।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় এ পর্যন্ত ৬৯ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই চিকিৎসক,নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী
সময় নিউজ
Leave a Reply