পি টিভি নিউজ ডেস্ক ঃ
‘করোনায় আমিও মবর-তুইও মর’ পাওনা টাকা চেয়ে না পাওয়ায় দেনাদারকে জড়িয়ে ধরা কক্সবাজারের সেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে অবশেষে আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মে) তাকে কক্সবাজারের রামুতে স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ৪ দিন আগে কক্সবাজারের সদরের বাংলাবাজার এলাকায় একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তার বাড়ি লক-ডাউন করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তি লক-ডাউন অমান্য করে এলাকায় ঘুরছে খবর পাওয়া পর থাকে আইসোলেশন ইউনিটে আনা হয়েছে। সেই বর্তমানে ভালো রয়েছে এবং কোনো ধরণের খারাপ আচরণ করছে না। এছাড়াও বুধবার বিকেলে তার পরিবারের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, গত ৪ দিন আগে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে লকডাউন করা হয়। কিন্তু সেই লকডাউন অমান্য করে মোটর সাইকেল নিয়ে পুরো এলাকায় বেপরোয়াভাবে ঘুরছে। তাকে ঘরে থাকার জন্য বলা হলেও সেই কাউকে মান্য করছে না।
মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি শহরের লিংক রোড এলাকায় এসে এক দেনাদারকে খুঁজতে থাকে। পরে দেনাদারকে পেয়ে টাকা খুঁজতে থাকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। কিন্তু টাকা দিতে কয়েকদিন সময় চাওয়ায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি টাকা না পেয়ে দেনাদারকে জাপটে ধরে। জাপটে ধরে বলে ‘করোনায় আমিও মরব-তুইও মর’।”
চেয়ারম্যান টিপু আরও বলেন, খবর পেয়েই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। দেনাদারকে উদ্ধার করে দ্রুত সাবান ও জীবাণুনাশক দিয়ে গোসল করার ব্যবস্থা করি। লক-ডাউন অমান্য করে করোনা রোগী গত তিন দিন ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। এরপর তাকে প্রশাসনের উদ্যোগে রামু আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়।
Leave a Reply