জাহেদ আহমেদ ঃ
ভারতে আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তবে, লকডাউনের জেরে দেশটিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত করায় সুফল মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থায়। এমনটাই মনে করছে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে গেলো, ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের।
গেলো ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত গড়ে ভারতে কোভিড নাইন্টিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার। লকডাউন খুলে আনলক-১ পর্ব শুরু হওয়ার পর সেই আক্রান্তের সংখ্যার গড় গিয়ে দাঁড়ায় ১১ হাজারে। একইভাবে, মৃত্যুর গড় ২৫০ থেকে বেড়ে তিনশোর ওপরে দাঁড়িয়েছে।
এমন বাস্তবতার মধ্যেও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, লকডাউনের ফলে দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থার ৬০ শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে। আর এতে করোনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে ৭৬ দিন সময় লেগেছে। এর ফলে সংক্রমণ সংখ্যা ৬৯ থেকে ৯৭ শতাংশ কম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে দেশটিতে সংক্রমণ চূড়ান্ত আকার নেবে বলেও সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।
এদিকে বেশ কয়েকটি রাজ্যে শুধু মাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জন্য লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহ থেকে দেশটিতে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, রেঁস্তেরা চালু করা হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনো স্বাভাবিক কেনাকাটায় বের হচ্ছেন না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ভারত ৬৮ দিনের লকডাউন শেষ করে ৩১ মে। এরপর থেকে শুরু হয় আনলক-১ নামে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু এই সময়ে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে
Leave a Reply