লক্ষীপুর প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরে আলোচিত স্কুলছাত্রী হীরামনি ধর্ষণ ও হত্যার সপ্তাহ পার হলেও আসামি ধরায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। সন্দেহভাজন দুজন কিশোরকে গ্রেফতারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ পুলিশের তৎপরতা। খুনি এখনও চিহ্নিত না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হীরামনির পরিবার।
আদরের নাতনী হীরামনিকে হারানোর পর থেকে নানা আজগর আলীর কান্না থামছেই না। শুধু তিনি নয়, হীরামনি হত্যার পর তার স্বজনদের আহাজারিতে ভারী যেন পুরো এলাকা। ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার জন্য মাসহ সবাই যখন ঢাকায় তখন বাড়িতে একা হীরামনি। এ সুযোগেই গত ১২ জুন শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে স্কুলছাত্রী হীরামনিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৩ জুন রাতে নিহতের মা ফাতেমা বেগম লাকি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।
গত ১৫ জুন অয়ন ও সুমন নামে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ওই দিন তাদের জেলহাজতে পাঠান আদালত। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর বাইরে এ ঘটনার আর কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী।
পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন খাঁন বলেন, পুলিশ পারে না এমন কিছু নেই। পুলিশ যদি আরও আন্তরিক হয়, আরও তৎপর হয় তাহলে হয়তো আরও দ্রুত অপরাধীদের ধরতে পারবে।
তবে এ ঘটনার রহস্য শিগগিরই উদঘাটিত হবে বলে দাবি জেলার পুলিশ কর্মকর্তার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল কবীর বলেন, দুজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে দেয়া হয়েছে। হীরামনির পরিবারকে আমরা সব রকমের নিরাপত্তা দেব।
হীরামনির পরিবারকে আইনী সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া আইনজীবী মনে করেন তদন্তে গুরুত্ব দিলে দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব।
আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হীরামনির পরিবারকে সহায়তা করব। আশা করি পুলিশ দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করবে।
তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল হীরামনি, পালেরহাট হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে
Leave a Reply