পিংকু দাসঃ
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কৃতি সন্তান,সিলেট জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ সভাপতি , বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বিগত রাজনগর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিধ্বনি, মাটি ও মানুষের নেতা জনাব সাইফুল আহমদ ছফু এক বার্তায় মৌলভীবাজার ০৩ আসনের এমপি নেছার আহমকে ৯৯৬ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মৌলভীবাজারের মনু নদীর বন্যা সমস্যার সমাধানে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৯৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কারনে মনু নদীর বন্যা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে বলে আশা করছেন ছফু আহমদ ।
মনু নদীর বন্যা জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জন্য একটি স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। প্রায় প্রতিবছরই এই তিনটি উপজেলার কোথাও না কোথাও মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে কমবেশি বন্যা নিয়ম হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসল, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ মূল্যবান নানা স্থাপনা। বারবার বন্যার ছোবলে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নদের দুই পাশের অনেক পরিবার।
ছফু আহমদ বলেন মৌলভীবাজার জেলার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত মনু নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ১৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মনু নদের ৯৩ কিলোমিটার পড়েছে ভারত অংশে। বাংলাদেশে ৭৩ কিলোমিটার। জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল এলাকা দিয়ে মনু নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মিশেছে। মনু নদীর বাংলাদেশ অংশের উভয় তীরে ১৪০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। অনেক সময় বাংলাদেশ অংশে ভারী বর্ষণ না হলেও উজানে ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হলে নদটি দ্রুত ফুলে–ফেঁপে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে নদটি ভরাট হওয়ার কারণে উজান থেকে দ্রুত নেমে আসা পানি ধারণ করতে পারে না। তখন নদের দুই পারের কোথাও না কোথাও বাঁধ উপচে বা বাঁধ ভেঙে বন্যা হচ্ছে। এতে মানুষের ফসলের পাশাপাশি ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও নানা রকম স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে প্রতিবছর রাস্তাঘাট নির্মাণে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।আশা করি এই প্রকল্প অনুমোদনের পর এখন আর এই সমস্যা থাকবে না।
এবং প্রকল্পের কাজ যেনো তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ হয় ও সঠিক কাজ হয় তার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য এই কাজগুলা তদারকি করেন।রাজনগর উপজেলার দুইটি অবহেলিত ইউনিয়ন উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়ন কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনের ফলে বাজার ও জনবসতি বিলিন হয়ে যাচ্ছে ভাঙ্গন রক্ষায় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিলো আপনার মাধ্যামে সেই প্রকল্প গুলা যেনো তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন হয় কুশিয়ারা নদীর পারের মানুষের প্রানের দাবী।
Leave a Reply