পি টিভি নিউজ ডেস্ক ঃ
নাটোর শহরতলীর হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকায় গৃহবধূ সুমাইয়া বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সোমবার (২২ জুন) সকাল থেকে কোন অভিযোগ না থাকলেও সন্ধ্যায় সুমাইয়ার মা নুজহাত বেগম দাবি করেছেন এই পরিকল্পিত হত্যা। তবে এই ঘটনায় সুমাইয়ার মা থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেননি।
হরিশপুর এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, যশোরের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়ার সাথে হরিশপুর এলাকার মোস্তাকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। প্রেম করে তারা ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল বিয়ে করে। প্রেমের বিয়ের নিয়ে জটিলতা থাকায় উভয় পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিলো না।
শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, সোমবার সকালে মোস্তাকের পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়া বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে সুমাইয়ার লাশ বলারিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সন্ধ্যায় সুমাইয়ার মা নুজহাত জানান, সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে ঢাকায় বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে বাধা দেয়। তারা সুমাইয়ার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে চায় এবং বাড়িতে ঘর-গৃহস্থালির কাজে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এই দ্বন্দ্বে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, ঝুলন্ত লাশের থবর পেয়ে তারা উদ্ধার করে মর্গে আনেন। সোমবার দুপুর পর্যন্ত উভয় পরিবার লাশটি ময়নাতদন্ত করতে দিতে রাজি হয়নি। পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দিতে রাজি না হওয়ায় ময়নাতদন্ত হয়।
সুমাইয়ার মায়ের হত্যার অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল মতিন বলেন, তিনি থানায় কোন অভিযোগ দেননি। উপরন্তু কেউ থানায় অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
এটি হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চাইলে আব্দুল মতিন জানান, ময়নাতদন্তের তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এই বিষয়ে তিনি কথা বলবেন।
Leave a Reply