♥♥
টিপ চলে যেতে লাগলে নীল টিপের হাতটা টেনে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসে
টিপ:::: কি করছেন আপনি?
নীল: এখন যা হবে আমার ইচ্ছায়,
টিপ:::: মানে?
নীল: মানে যে দেবতা যে ফুলে তুষ্ট হয় সে দেবতাকে সেই ফুলে পুজো দিতে হয়,
টিপ: মানে টা কি????
নীল কোনো কথা না বলে টিপের হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয়,
টিপ:::: কি করছেন আপনি?
নীল:::: দেখতেই পাবে
টিপ:::: আমি কিছু দেখতে চাইনা আমায় যেতে দিন,
নী: চুপ কোনো কথা না, যাস্ট স্যাট আপ,ওকে?
টিপ: না ওকে না, আপনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আগে বলুন,
নীল:
টিপ: প্লিজ,
নীল গাড়ি একটা বড় বাসার মধ্যে এনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে,
নীল: টিপ নেমে আসো,
টিপ: না আগে বলেন এটা কার বাড়ি?
নীল কথা না বলে টিপকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাসার মধ্যে নিয়ে চলে আসে, তারপর একটা রুমে এনে বসিয়ে দেয়
নীল: এটা আমার বাড়ি,,,,
টিপ: তাহলে ওটা?
নীল: ওটাও আমার বাড়ি,
টিপ: আপনি আমাকে এখানে কেনো এনেছেন,আল্লাহ্ আপনি আমার সাথে কোনো উল্টা পাল্টা করার চিন্তা করছেন নাতো?
নীল: আচ্ছা, উল্টা পাল্টা কিছু কি?
কথাটা বলেই নীল টিপের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, টিপ ও আস্তে আস্তে পিছিয়ে যায়,
টিপ: আপনি এভাবে এগিয়ে আসছেন কেনো?
নীল: তুমিই বা পিছাও কেনো?
টিপ: সেটা আমার ইচ্ছা.
নীল: তোমার ইচ্ছাতে তুমি সব করতে পারবে না, আমি করতে দিবো না,
টিপ: কেনো পারবো না, আর আপনি করতে দিবেন না কেনো???
নীল: সেটা বোঝার মতো ক্ষমতা তোমার নাই,
টিপ:::: কে বললো,,,
নীল:::: সব বোঝো?
টিপ::: হ্যা,,,
নীল::::: আচ্ছা,,,,
কথাটা বলেই নীল টিপের কমরে জড়িয়ে ধরে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে নেয়, নীলের এমন ব্যবহারে টিপ চুপটি মেরে যায়,,,
নীল:: কি চুপ হয়ে গেলে কেনো???
নীল টিপকে ছেরে দেয়, টিপ পিছাতে গিয়ে দেওয়ালের সাথে লেগে যায়, নীল গিয়ে টিপের দুপাশ দিয়ে দুহাত রাখে এতে টিপ আরো ভয় পেয়ে যায়,
টিপ::::: প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন,
নীল: দিতাম, যদি আমার কথা শুনতে
টিপ: আমি আপনার সব কথা শুনবো প্লিজ আমায়!!
নীল: চুপ, এই কথাটা আগে ভাবতে হতো, তোমার বুঝতে হতো তুমি নীল এর কথা অমান্য করছো, নীল এর কথা কারো অমান্য করার সাহস নাই,আর তুমি কি করলে,আমার বারন তুমি শুনছো না,আমি যেটা বারন করছি তুমি সেটাই করছো, তোমাকে বুঝতে হবে নীল এর পাওয়ার। আমি সহজে রাগি না,বাট যে আমার রাগ টা দেখেছে সে আর আমার সামনে আসার সাহস পায় না,
টিপ:::: আমি সত্তিই,,,,
নীল: হুসসসসসস্( টিপের ঠোটে হাত দিয়ে)চুপ একটা কথাও না,
নীল আস্তে আস্তে টিপের ঠোটের কাছে নিজের ঠোট এগিয়ে নিয়ে যায়, এটা দেখে টিপ নিজের ঠোটে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে, কিন্তু অনেক ক্ষন নীলের কোনো রেসপন্স না দেখে টিপ চোখ খুলে দেখে পুরা রুম ফাকা, আর দরজাও লক, টিপ ভয় পেয়ে যায়, টিপ দরজা বাড়ি দিতেই নীল আওয়াজ দেয়,,,,
নীল: ভয় পেওনা, এমন কিছু করবোনা যাতে তুমি কষ্ট পাও বিয়েটা করতে বারন করছিলাম তুমি শোনোনি এখন তোমাকে কাল পর্যন্ত এভাবে এখানেই থাকতে হবে বলেছিলাম না এখন যা হবে আমার ইচ্ছায় হবে আমি একটু পরেই আসছি, বাই,
টিপ: আপনি এমন কেনো করছেন?
নীল: ওইতো আমার ইচ্ছা অনেত তো তাই,
টিপ: আমার বিয়ে টা করা খুব জরুরি বুঝছেন না কেনো?
নীল: আমি কিছু বুঝতে চাই না,শুধু জানি বিয়ে টা হচ্ছে না,
টিপ: আমার বিয়ে হলে আপনার কি সমস্যা?
টিপের কথাটা শুনে নীল চুপ হয়ে যায়,
নীল:( আমারইতো সব কিছু,কারন তুমি শুধু আমার,আমি তোমাকে কষ্ট দিতে পারি না টিপ,তোমাকে কষ্ট দেয় এমন সব কিছু তোমার সামনে থেকে সরীয়ে দিবো আমি, ভয়কে জয় করতে হবে তোমার,, আমাকে ভালোবাসতে হবে,,শুধুই আমাকে) সেটা তোমার না জানলেও চলবে,আমি আসছি,
নীল বের হয়ে চলে আসে, নীলের কাছে এর থেকে ভালো প্ল্যান ছিলো না, টিপকে ও নিজের করে চায় কিন্তু সেটা টিপের ইচ্ছায়,জোর করে নয়,
টিপ: স্যার, স্যার, দরজা খুলুন প্লিজ, আমাকে যেতে হবে, প্লিজ স্যার আল্লাহ্ আমার ভাগ্য কি ভাবে আর খেলবে আমায় নিয়ে বলো তো,
টিপের ফুপি: এই ছেলে কে তুমি? এভাবে না বলে কারো বাসায় ঢুকে পড়েছো, আবার এভাবে ঘুরাঘুরি করছো কেনো?
নীল: আপনি টিপের ফুপি?
ফুপি;;::: হ্যা,,,কেনো?
নীল: আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছা ছিলো তাই, বসুন এখানে আপনার সাথে কথা আছে,
ফুপি::::: কি ব্যাপার এ?
নীল: এখানে দশলক্ষ টাকা আছে আর প্রতি মাসের শুরুতে আপনি এক লক্ষ টাকা করে পেয়ে যাবেন,
ফুপি: এতো টাকা আমার?
নীল: দাড়ান, এই টাকা গুলা আপনার, কিন্তুু টাকা গুলো কেনো আপনাকে দিবো সেটা শুনবেন তো আগে,
ফুপি: টাকার জন্য আমি সব করতে পারি, আমি তোমার সব কথা শুনতে পারি, বলো, বলো তোমার কি চাই? টিপকে তো? ওকে তো আমি পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে ঘাড় থেকে নামাতেই চেয়েছিলাম, কিন্তুু এখন থেকে টিপ তোমার,
নীল: টিপ তো আমার ই, সেটা আপনি চাইলেও, আর না চাইলেও আজকের পর থেকে টিপের সাথে এমন কোনো ব্যবহার যেনো না করা হয় যাতে ওর কোনো কষ্ট হয়, ওর চোখ থেকে যেনো এক ফোটা পানি না পড়ে, গায়ে হাত তোলা তো দুরে থাক,
ফুপি: আমার টাকা দিয়ে সম্পর্ক, আমার টাকা আমি পেলেই হলো,
নীল: ওকে, ঠিক আছে, একটা কথা মনে রাখবেন, টাকা গুলো যে নিলেন এটার ফুল প্রুফ আছে আমার কাছে,
ফুপি:::: মানে?
নীল: ভবিৎষতে আমার সাথে চালাকি করার চেষ্টা করলে আপনি খুব সহজেই পুলিশের কাছে চলে যাবেন, আমার ক্ষমতা সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনাই নাই, আর আমি জানি এ সব কিছুই টিপের আমি চাইলেই টিপের সব কিছু ওকে ফিরিয়ে দিতে পারি,কিন্তুু টিপ যেটা আপনাদের দান করে দিয়েছে সেটাতে আমি আর হাত লাগাতে চাই না কিন্তু ভবিৎষতে যে এমন কিছু হবে না তার গ্যারান্টি দিতে পারছি না, সো আপনি আমার কথা মতো চলেন,
ফুপি: তুমি যেমন চাও তেমনই হবে,
নীল: আর একটা কথা, টিপ যেনো কিছু না যানে, আর ওকে ওর পছন্দ মতো থাকতে দিবেন,
ফুপি:::: আমি সব বুঝতে পারছি,,,,
নীল বের হয়ে এসে গাড়িতে উঠবে,,,,
তিশা::::: এক মিনিট,,,,
নীল:::: তুমি?
তিশা::::আপুর জন্য এতো কিছু করলেন কেনো?
নীল:::: ও তুমি বুঝবে না,,,,তুমি যাও,
তিশা: আমি এতোটাও বাচ্চা না যে আমি বুঝতে পারবো না, আমি কখনই চাইবো না আমার আপু কে কেউ দয়ার চোখে দেখুক, আমি আমার আপু কে দয়ার পাত্রী হতে দিবো না,
নীল: ইনাফ তিশা, টিপকে আমি দয়ার চোখে দেখতে যাবো কেনো?
তিশা: তাহলে? তাহলে কোন স্বার্থে আপনি এসব করছেন?
নীল: ভালোবাসি টিপকে, আমি চাই না ওকে কেউ কোনো ভাবে কষ্ট দিক, ওর জন্য আমি! আমি! আমি ওর সব সমস্যার সামনে থাকবো,,,,
তিশা: আপনার সাথে আপুর দেখা তো সুধু তিন দিন, এর মধ্যেই আপনি আপুকে এতো ভালোবাসলেন যে আপুর জন্য এতো কিছু, আর, আপুর একটা অতীত আছে, যেটা জানলে আপনি হয়তো,
নীল: ভালো বাসতে হাজার বছর লাগে না, একটা মুহুর্তই যথেষ্ট, আর, আমি টিপকে ভালোবাসি, টিপের অতীতকে না, ওর সাথে যাই হয়ে থাকুক আমি সেটাতে ইন্টারেস্ট না, আর আমি সেটা জানতেও চাই না,
নীলের কথা শুনে তিশা হেসে ওঠে,
নীল: সাইলেন্ট আমি চাই না টিপ এসবের কিছু জানুক,
তিশা: ঠিক আছে আপনি যা চান তাই হবে, আমি শুধু আমার আপু কে সুখি দেখতে চাই,
নীল: টিপ আমার কাছে আছে, টেনশন করো না,
তিশা:::: ঠিক আছে,
নীল বের হয়ে আসে,
নীল কিছু খাবার নিয়ে টিপের কাছে যায়, দরজা খুলে দেখে টিপ মেঝেতে শুয়ে আছে,
নীল: এই মেয়ে এখানে এভাবে শুয়ে আছে কেনো? ঠান্ডা লেগে যাবে তো, টিপ….. টিপ…..
টিপের সাড়া না পেয়ে নীল আলতো করে টিপকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়, নীল টিপকে শুইয়ে উঠতে গেলে টিপ নীলের হাত জরীয়ে নেয়, তারপর ঘুমের ঘোরে নীলের সাথে বকবক করতে থাকে, নীল সেগুলোর কিছুই বুঝতে পারে না, হঠাৎই টিপ ব্যাথায় আহ্ করে ওঠে,
টিপ: পিঠের ওপর থেকে হাত টা সরা তিশু, খুব ব্যাথা করছে,
নীল বুঝতে পারলো টিপের পিঠে কিছু একটা হয়েছে, নীল টিপের পিঠের ওপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দেখে টিপের পিঠে নতুন আঘাতের চিন্হ, লাল টকটকে হয়ে আছে, নীল টিপের কাটা জায়গায় হাত নিয়ে দেখতে থাকে, নিজের অজান্তেই নীলের চেখ বেয়ে পানি পড়ে যায়, তখনই টিপের ঘুম ভেঙে যায়, টিপ হুড়মুড় করে উঠে নীলের পাশ কাটিয়ে পালাতে লাগলো, নীল ঝট করে উঠে টিপের হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে দেয়,
টিপ: কি করছিলেন আপনি? এডভান্টেজ নিচ্ছিলেন আমার ঘুমের তাই না?
টিপের কথায় নীল একটা মুচকি হেসে উঠে যায়, দরজাটা লক করে কিছু একটা হাতে নিয়ে টিপের পাশে বসে,
নীল:::: পিছে ঘুরে বসো,,,,
টিপ:::: কেনো?
নীল:::: কাজ আছে,,,,,
টিপ:::: আমি বাসায় যাবো….
নীল: কি করতে যাবে পরে পরে মার খেতে?
টিপ:::: আমি যাই করি আপনার কি?
নীল: আর একটা কথা যেনো না হয়, পিছে ঘুরে বসতে বলেছি, বসো, আমায় রাগিও না, জীবনে আমি কোনো মেয়ের গায়ে হাত দেই নি, নিজে থেকে যদি তোমার গায়ে হাত দিতে হয় তাহলো কিন্তুু…..
টিপ তাড়াতাড়ি করে পিছে ঘুরে বসে,
নীল: চুল গুলো সামনে টেনে নাও,
টিপ নীলের কথা মতো নিজের চুলগুলো সামনে টেনে নেয়, নীল টিপের পিঠে ওষুধ লাগিয়ে দিতে গেলো, তার আগেই টিপ সামনে ঘুরে নীলের হাত ধরে ফেলে।
♥♥চলবে♥♥
Leave a Reply