পি টিভি নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলার গোলাপ গনজ থানার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাকুয়ার বাজার ফেরিঘাটের পশ্চিম পাড় উত্তর আলম পুর, কোনা গাও থেকে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মাসুরা গ্রাম দিয়ে মোকাম বাজারের সাথে মিলিত রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। অবহেলিত রাস্তাটি দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। আধা কিলোমিটার রাস্তা বাদেপাশা ইউনিয়নের অধীনে, অবশিষ্ট আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ভাদেশ্বর ইউনিয়নের অধীনে। কোনাগাও,উত্তর আলম পুর, কুলিয়া, কেওট কোনা,রাকুয়ার বাজার,কুশিয়ারা পুলিশ ফাড়ি, দক্ষিণ আলম পুর ইত্যাদি গ্রামগুলোর শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই অবহেলিত রাস্তাটি। বাগলা ছেগা, কালাইম, রাংজিওল, সোফাটেক, অত্রএলাকাবাসী ঐ অবহেলিত রাস্তা দিয়ে ভাদেশ্বর হয়ে ঢাকা দক্ষিণ গোলাপ গনজের রাস্তা দিয়ে সিলেট শহরে যাতায়াত ছিল। রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে একটি খাল ভাদেশ্বর ইউনিয়নের কুড়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। প্রতি বছর বন্যার সময় খালের পানির প্রবল স্রোতে রাস্তার প্রায় ৭৫% অংশ খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। যাহা এলাকাবাসীর রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। অত্রএলাকার ছাত্র ছাত্রীরা ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ভাদেশ্বর নাসির উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বুধবারী বাজার হাফিজি ও দাখিল মাদরাসা, ভাদেশ্বর কুড়ির বাজার ফাজিল মাদরাসা, ঢাকা দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্টানে লেখা পড়া করেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো রাস্তার যোগাযোগের অসুবিধার কারণে, ছাত্র ছাত্রীরা সময়মত উক্ত প্রতিষ্টানে ক্লাসে ও পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারে না। এতে করে তাদের লেখা পড়ার অপূরনীয় ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। ভাদেশ্বর মোকাম বাজার সিএনজি স্টেশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কয়েছ আহমদ সাহেব জানান উত্তর আলম পুর টু ভাদেশ্বর মোকাম বাজারে সাথে মিলিত রাস্তা দিয়ে বিগত তিন/ চার বছর পূর্বে আমার ষ্ট্যান্ডের অনেক সিএনজি মাধ্যমে ঐ রাস্তা দিয়ে যাত্রী চলাচল করছিলো।বাগলা ১নং প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ লুৎফুর রহমান স্যার ও আশরাফুল উলুম কাটাখালের মাদরাসার সভাপতি জনাব মোঃ মঈন উদ্দিন পাখি সাহেব জানান একসময় ঐ রাস্তা দিয়ে আমরা সিএনজি মাধ্যমে শহরের সাথে যোগাযোগ করতাম। এলাকার বাসিন্দা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম সাহেব ও জনাব সালেহ আহমদ সাকের জানান, পেগনেন্ট মহিলা এবং অসুস্থ রোগীদেরকে যথাসময়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অনেক সময় অসম্ভব হয়ে যায় যোগাযোগের অসুবিধার কারণে।এজন্য অনেক সময় চিকিৎসা সেবার অভাবে পেগনেন্ট মহিলাসহ অনেক রোগী মারা যায়। এরকম হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়।কেওট কোনার জনাব মোঃ আবু সাইদ জানান, রাতে শহর থেকে ঐ রাস্তা দিয়ে এলাকায় ফিরে আসতে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অবহেলিত পথযাত্রীদের। ঊর্ধ্বতন জনপ্রতিনিধির প্রতি আহবান, উপরে উল্লেখিত রাস্তার সমস্যা গুলো বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করে অবহেলিত এলাকাবাসীর উন্নত যাতায়াত ব্যবস্হা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোরদাবী জানাচ্ছেন সিলেট ৬ আসনের অবহেলিত ঐ এলাকাবাসী।
Leave a Reply