আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাত্রলীগের যেসব ওয়ার্ড, থানা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কমিটি এখনো গঠিত হয়নি তা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করার তাগাদা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
এ সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তেমন কর্মীদেরই উপহার দেবে যারা একদিন এই রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিচালনা করবে। ছাত্রলীগকে তেমন একটি সংগঠনে প্রস্তুত করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে সত্যিকারের বঙ্গবন্ধু প্রেমী কর্মী সৃষ্টি হয়। এরা সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কিংবা মহানগরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হবে না। এর মধ্য দিয়ে কেউ সিভিল প্রশাসনের যাবে। কেউ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার যাবে। তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করতে পারে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী। তিনি পাকিস্তানি চর ছিলেন।
নানক বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না জেনারেল বেগ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। আর এ জেনারেল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল ছিলেন। সেই কর্নেল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জিয়াউর রহমানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠি প্রমাণ করে মেজর জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি চর হিসেবে ঢুকিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ কারণে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারে নাই। মোস্তাক-জিয়া যেমন করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিল ঠিক তেমন করে, খালেদা-তারেক, মুজাহিদ, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আমরা সবাই প্রতীক্ষায় ছিলাম, একটি প্রতিরোধ ডাকের। একটি ডাকের অভাবে সেদিন বুক চাপড়ে কেঁদেছিল বাংলার মানুষ।
মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মান্নফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্যসহ দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply