নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সর্বশেষ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত অগ্নিদগ্ধ রোগীদের মধ্যে সর্বমোট ২৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ইতিমধ্যে ২০ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৩ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন৷
নিহতরা হলেন: মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫), সাব্বির (২২), জুনায়েদ (৭), জামাল (৪০), জুবায়ের (১৪), হুমায়ূন কবির (৭০), মোস্তফা কামাল (৩৪), ইব্রাহিম (৪৩), রিফাত (১৮), জুনায়েদ (১৭), কুদ্দুস বেপারী (৭২), রাশেদ (৩০), জয়নাল (৫০) ও মাইনুদ্দিন (১২), নয়ন (২৭), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), রাসেল (৩৪), মো. বাহাউদ্দীন (৫৫) মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল মালেক (৬০) ও মিজান (৩৪), ফটো সাংবাদিক নাদিম আহমেদ (৪৫), মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ শামীম হোসেন (৪৮) ও জুলহাস ব্যাপারী (৩০)৷
গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালীন অবস্থায় পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতর থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি দগ্ধ হন৷
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সূত্রমতে, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ প্রত্যেকের শরীরের অধিকাংশ আগুনে ঝলসে গেছে৷ তাদের মধ্যে মসজিদের ইমাম, ময়াজ্জিন ও দুই শিশুসহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ চিকিৎসাধীন বাকিদের অবস্থায়ও আশঙ্কাজনক জানিয়েছে সূত্রটি৷
বার্ন ইউনিটে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম৷ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়া এবং মৃতদেহ হস্তান্তরে কাজ করছেন তারা৷ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার পলাশ কুমার দেবনাথ জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদেরকে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply