নিজেস্ব প্রতিনিধিঃসিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মীরের চকে এক ভূমি দস্যুর আতঙ্কে দিন কাটছেন এলাকা বাসী।এলকাবাসী অভিযোগ দিয়ে বলেন সাজু নামে এক ভূমি দস্যুর হাতে জিম্মি এলাকার মীররচকে কিছু জায়গা,সাজু আহমদ পিতা মরহুম আব্দুল জব্বার,সাং মৌবন-৪৭, সোবানীঘাট,সিলেট।এলাকা সূত্রে জানা যায় বিজনেস প্রপাঠি নামে একটি কোম্পানির ২.৭৬শতক জায়গা ভূমি দস্যু সাজু আহমদ নিজের বলে দ্বাবি করে আসছিলেন,কিন্তু ভূমি দস্যু সাজু আহমদ যখন মাঠি ভরাট করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আখতার হোসেন কাওছার, পিতা হাজী আব্দুর রকিব সাং কোনাচর মোল্লাবাড়ী,গোলাপগঞ্জ, সিলেট।আখতার হোসেন কাওছার দাবি করেন এই জায়গার মালিক তিনি,কাওছার মিয়া ভূমি দস্যু সাজু আহমদকে কাজ না করতে বললে ভূমি দস্যু সাজু আহমদ নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন জায়গার উপরে।ভূমি দস্যু সাজু আহমদ এর ক্ষমতার সাথে না পেরে,এ বিষয় নিয়ে আখতার হোসেন কাওছার মিয়া ৩নং ওয়ার্ডের জন নন্দিত মেম্বার দেলোয়ার হোসেনে সহ এলাকার সচেতন ও মুরব্বিদের কাছে বিচার প্রার্থী হন।মেম্বার দেলোয়ার হোসেনে সহ এলাকার সচেতন ও মুরব্বিগণ বলেন আখতার হোসেন কাওছার এর বিষয় টি দেখে দিবেন।মেম্বার দেলোয়ার হোসেনে সহ এলাকার সচেতন ও মুরব্বিগণ ভূমি দস্যু সাজু আহমদের সাথে কথা বলে তাদের জমির কাগজ নিয়ে আসতে বলেন এবং একটি তারিখ সকলের সম্মতিতে করা হয়। কাওয়ছার আহমদ কাজপত্র নিয়ে আসেন কিন্তু সেই তারিখে উপস্থিত হননি ভূমি দস্যু সাজু আহমদ। না আসার কারনে ভূমি দস্যু সাজু আহমদকে কল দিলে ভূমি দস্যু সাজু আহমদ মেম্বার সহ এলাকার প্রতিটা মানুষকে দালাল বলে নানা গালি গালাজ করেন যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।এর কিছু দিন পরেই রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মাণের কাজ করেন ভূমি দস্যু সাজু আহমদ। পর দিন সকালে এই কাজ দেখে এলাকার সবাই অবাক হন। তার পর এলাকার সচেতন ও মুরব্বিগণ কলদিয়ে জানতে চাইলে ভূমি দস্যু সাজু আহমদ হুমকি দিয়ে বলেন আমার বাহীনি যদি পাটাই তা হলে সব কয়টারে শেষ করে দিব হালা দালালের দল আরো অনেক গালিদেন ভূমি দস্যু সাজু আহমদ।কিছু দিন পর আবার কাজ শুরু করে এই এলাকার রাজমিস্ত্রী তখন এ খবর পেয়ে আখতার হোসেন কাওছার মিয়া ফোনে এলাকার মেম্বর ও মুরব্বিদের কাছে বললে তারা গিয়ে রাজমিস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন তারা কাজ কি ভাবে করছেন তখন তারা বলে আদালতের অনুমতি নিয়ে কাজ হচ্ছে এবং একটি কপি ও তাদের কাছে দিয়ে গেছে ভূমি দস্যু সাজু আহমদ , সচেতন মহল কাগজ দেখতে চাইলে রাজমিস্ত্রী কাগজ দেন তখন দেখা যায় এটা আদালত থেকে আদেশ আসা কাগজ নয় আদালতের কাছে পুলিশের পাটানো একটি প্রতিবেদন।এতে আর বুঝার বাকী তাকে না এলাকাবাসীর যে সাজু আহমদ একজন ভূমি দস্যু । কারন সঠিক কাগজ ছাড়া ভূমি দস্যু সাজু আহমদ জায়গা দখল করছে।
এলাকাবাসী ভূমি দস্যু সাজু আহমদের সংঙ্গ না দেওয়া ভূমি দস্যু সাজু আহমদ নানা ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মীরেরচক এলাকাবাসী। আলী আহমদ বাচ্ছু মিয়া,দেলোয়ার হোসেন,সাহাজান মিয়া,আলী আকবর,সেলিম মিয়া,সোনার মিয়া,কামাল মিয়া,আজিজ মিয়া,সিরাজ মিয়া,কবির মিয়া,আব্দুল মতলিব,সহ এলাকার যুব সমাজ বলেন ভূমি দস্যু সাজু আহমদ আমাদের এলাকার সম্মান নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আমরা ভূমি দস্যু সাজু আহমদ এর বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনানুসারে ব্যবস্তা গ্রহন করব।
অভিযোগ আসা ভূমি দস্যু সাজু আহমদ এর বিষয়ে তথ্য নিতে গিয়ে জানা যায় ভূমি দস্যু সাজু আহমদ এর তালই হচ্ছেন মীরেরচক গ্রামের সালাম মিয়া গেদই। সালাম মিয়া গেদই বলেন আমার মেয়ে বিয়ে দিয়েছি সাজু আহমদ এর ভাইয়ের কাছে আমি জায়গার বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। কয় দিন আগে আমার মেয়ের দেবর সাজু আহমদ আসলে এলাকায় তখন আমার সালা ফখরুল মিয়া,ও সিরাজ মিয়ার মধ্য কথা কাঠা কাঠি নিয়ে এক পর্যায়ে কিছু টা হাতা হাতি হয় এতে আমার মেয়ে ঘটনা স্থলে গেলে তার মামা ফখরুল মিয়া থাকে মারধর করেন।
তবে ফখরুল মিয়া আমাদের জানান যে এই বিষয় টা মিথ্যা ও বানোয়াট আমার বোনের জামাই সালাম মিয়া গেদইর মেয়ে আমার ভাঙনির দেবর ভূমি দস্যু সাজু আহমদের সাথে না থেকে সত্যের সঙ্গে থাকায় আমাকে হয়রানি করার জন্য ও আমরা সাথে যাহারা সত্যের সঙ্গে ছিলো তাদের নামে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে শাহপরান থানায় ভূমি দস্যু সাজু আহমদ। ঘটনা স্থলের আসে পাশের থাকা লোক মারামারির ঘটনা দেখেননি বলে জানান।
সাজু আহমদ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন বন্ধ মিলে।
Leave a Reply