সিলেট :: সিলেট নগরীর জল্লার পার রোডের হোটেল গ্রান্ড প্যালেসে মদের বার চালু করার তৎপরতা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার জল্লার পার, দাঁড়িয়া পাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, জামতলা ও জিন্দাবাজারের সচেতন এলাকাবাসী এবং দ্বীনি সংগঠন ইসলাহুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিশাল একমানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলাহুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা খায়রুল ইসলাম। হাফিজ মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরী ও ইসলাহুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা আখতার হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম সিলেট মহানগরীরসহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরীর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, হেফাজতে ইসলাম সিলেট মহানগরী সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার এরপ্রিন্সিপাল মাওলানা ছামীউর রহমান মুছা, হাফিজ মাওলানা আহমদ সগীর, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সান্তনু দত্ত সনতু, গৌছুল আলম গেদু, মাহবুবুল আলম মিলন, হাজী রাজিক মিয়া, এহছানুল হক তাহের।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন তফাজ্জুল হোসেন ইমন, সাখাওয়াত হোসেন খান শিপলু, সাইদুল হক, রাশেদ আহমদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মাননবন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষায় সিলেটবাসীর বিগত দিনের দূর্বার আন্দোলনের কথা সবারই জানা আছে। সিলেটের কিংবদন্তী আলেমে দ্বীন প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমানের (রহ.) রূহানী সন্তানেরা এখনো জীবিত আছেন। তাই আমরা আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসন তা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। অন্যথায় সিলেটের আলেম-উলামা, হেফাজতে ইসলাম, ইমাম সমিতিসহ সর্বস্তরের জনতার সমন্বয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে।
শেষে ইসলাহুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল গফ্ফার কয়েকটি দাবি ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তা হলো-
১। অত্র এলাকায় মাদকের অবাধ ছড়াছড়ি বন্ধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
২। অবিলম্বে হোটেল গ্রান্ড প্যালেসে মদের বার বন্ধ ঘোষণা দিতে হবে।
৩। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইট থেকে বারের বিজ্ঞাপন বন্ধ ওতা প্রচারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
৪। ভবিষ্যতে হোটেলে কোন অনৈতিক কার্যক্রম হবে না মর্মে মুচলেকা দিতে হবে।
৫। হোটেল গ্রান্ড প্যালেস সহ নগরীর অন্যান্য সকল বার ও সকল অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬। সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের নিকট ১৪ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে স্বারকলিপি প্রদান করা হবে।
৭। প্রশাসন যদি উক্ত দাবীসমূহের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ না করেন, তাহলে হেফাজতে ইসলামসহ সিলেটের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
Leave a Reply