কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের নরদারটেক এলাকায়। ঘটনায় জড়িত ৭ যুবককে কাপাসিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার মেয়ের মা বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলার বীর আহম্মেদপুর গ্রাম থেকে বুধবার তরগাঁও ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার পূর্বপরিচিত সাখাওয়াত ও সাকিব মোবাইল ফোন দেয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী নরদারটেকে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই টেকের একটি কড়ই গাছের নিচে প্রথমে সাখাওয়াত ও পরে পালাক্রমে সাকিব ও অন্যরা রাত সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ধর্ষিতাকে আটকে রেখে তার মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে বিকাশে পাঠাতে বলে। পরে তার মা মোবাইল ফোনে বিষয়টি থানায় অবহিত করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে মাসুমকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে অপর ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল-চরখামের গ্রামের আইনউদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৪), তরগাঁও গ্রামের মোস্তফা বেপারির ছেলে রোমান বেপারি (২০), মহসিন বেপারির ছেলে জোবায়ের বেপারি (২০), মফিজউদ্দিন সর্দারের ছেলে মোস্তারিন (১৯), এহসান বেপারির ছেলে সাহাবুল হোসেন সাকিব (২১), বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল হক (২০), বোয়ালিয়ারটেকের মৃত ছফুরউদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ (২১) ও সামসুল হকের ছেলে রাকিব হোসেন (২০)।
এ ঘটনার মূলহোতা সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছে। এএসপি সার্কেল (কালীগঞ্জ) ফারজানা ইয়াসমিন ভিকটিমের জবানবন্দি নিয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূলহোতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply